বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ, ২০২৩

এসপিজিআরসি'র ৭ দফা দাবি ঘোষণা


সত্যের পক্ষে জাতীয় দৈনিক মুক্তখবর
ঢাকা • মঙ্গলবার ২১ মার্চ ২০২৩ ২৮ শাবান ১৪৪

এসপিজিআরসি'র ৭ দফা দাবি ঘোষণা
নিজস্ব প্রতিবেদক : উর্দুভাষী সংগঠন এসপিজিআরসি নতুন নামে আত্ম প্রকাশ করেছে। রোববার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে নতুন নাম প্রকাশ করেন। তাদের সংগঠনের নতুন নাম হলো- “স্ট্যান্ডেড পিপলস জেনারেলে রিহ্যাবিলিটেশন কমিটি”। সম্মেলনে তারা এদেশে পূর্ণবাসনসহ সাত দফা দাবি পেশ করেছে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, এসপিজিআরসি বাংলাদেশ সাধারণ সম্পাদক, হারুন অর রশিদ। লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর হতে এ দেশের ১৩ টি জেলায় ৭০ টি ক্যাম্পে ঊর্ধ্বসী জনগোষ্ঠীরা সব রকমের মৌলিক অধিকার হতে বঞ্চিত হয়ে অসহায় ও মানবতার জীবন যাপন করে আসছে। দেশ স্বাধীনের পর উর্দুভাষীদের জান মাল নিরাপত্তার ঝুঁকিতে থাকায় ১৯৭২ সনে আইসিসি রেডক্রস নামক আন্তর্জাতিক এনজিও সংস্থা পাকিস্তান এর জন্য বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন ক্যাম্পে একত্রিত করে উর্দুভাষীদের একটি তালিকা প্রণয়ন করেন। সে তালিকা অনুযায়ী বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সরকারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে প্রায় ১ লক্ষ ৬৯ হাজার উর্দুভাষীদেরকে পাকিস্তানে প্রত্যাবর্তন করা হয়। এরপর ১৯৭৪ সালের পরবর্তী সময়ে পাকিস্তানের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কারণে বিভক্ত উর্দুভাষী জনগোষ্ঠীদের পুনরায় প্রত্যাবর্তন করা হয়নি। তখন এই হতভাগা জনগোষ্ঠীর চরম হতাশায় ভুগলে উক্ত সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা এম নাসিম খান বাধ্য হয়ে পাকিস্তান প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করাসহ পাকিস্তান সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য উনার নেতৃত্বে ট্রান্ডেড পাকিস্তানীজ জেনারেল রিপ্যাট্রিয়েশন নামক একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠিত করেন। যার শাখা-প্রশাখা বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় বসবাসরত উর্দুভাষীদের ক্যাম্পে অদ্যপতি স্থাপিত আছে। বর্তমানে আমরা পাকিস্তান সরকারের প্রতি সম্পূর্ণ অনাস্থা প্রকাশ করে পাকিস্তান প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়ার দাবির পরিবর্তে এদেশে পূর্ণবাসিত হতে চাচ্ছি। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উর্দুভাষীদেরকে এদেশের সম্মানজনক পূর্ণবাসনের ঘোষণা দেওয়ায় আমরা আমাদের সংগঠনের সংক্ষিপ্ত নাম ঝচএজঈ ঠিক রেখে ২/১টি অর্থ পরিবর্তন করে বর্তমান কমিটির নাম “স্ট্যান্ডেড পিপলস জেনারেলে রিহ্যাবিলিটেশন কমিটি” ঘোষণা করছি। প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা গত ৬ মার্চ ২২ এবং ১৯ ফেব্রুয়ারি ২৩ তারিখে কালশি ফ্লাইওভার উদ্বোধনের সময় প্রকাশ্যে জনসম্মুখে বলেছেন উর্দুভাষী জনগোষ্ঠীকে পাকিস্তান সরকার ফিরে নেয়নি আমি তাদেরকে এদেশে সম্মানজনক পূর্ণবাসন করে দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আদেশ দিয়েছি। উনার এই মানবতার আমরা উর্দুভাষী জনগোষ্ঠীররা আগন্ত ও আনন্দিত হয়েছি। আমরা আপনাদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট আমাদের সাতটি দাবিনামা পেশ করছি। দাবিগুলো হচ্ছে- সারা বাংলাদেশে বসবাসরত উর্দুভাষীদের যতদিন পর্যন্ত স্থায়ীভাবে পণ্যবাসন না হয় ততদিন পর্যন্ত তাদেরকে কোনরকম হয়রানি বা উচ্ছেদ করা যাবে না মর্মে একটি সরকারি আদেশ জারি করা হোক। যতদিন পর্যন্ত উর্দুভাষী জনগোষ্ঠীদের পূর্ণবাসন হচ্ছে না ততদিন পর্যন্ত প্রণীত বিধি অনুযায়ী ক্যাম্পের সকল সুযোগ সুবিধাসহ বিদ্যুৎ পানি ও নিরাপত্তা বহাল রাবার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আদেশ দান। সারা বাংলাদেশ সরকার ও প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক অসহায় গরীব দুঃখীদের জন্য নানাবিধ সুযোগ সুবিধার প্রধানসহ তাদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে, সেই সুবিধার আওতায় উর্দুভাষীদেরকেও অন্তর্ভুক্ত করা হোক। বিগত ৪৬ বছর যাবত এই উর্দুভাষী জনগোষ্ঠীর কল্যাণ এবং তাদের সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য আমাদের সংগঠন অবিরাম পরিশ্রম করে যাচ্ছে। সরকারিভাবে উর্দুভাষীদের যখনই কোন তালিকা প্রণয়ন ও পুনর্বাসন করা হবে তাতে SPGRC সংগঠনকে সম্পৃক্ত করা হোক। ২০১৯ সালের ৫ অক্টোবর SPGRC নেতৃবৃন্দের ওপর বজ্রকৃত মামলা প্রত্যাহার করা। রাবিতা ট্রাস্টে উর্দুভাষাদের পূর্ণবাসনের জন্য হাবিব ব্যাংকে ৫শত কোটি রুপি জমা রয়েছে উহা বাংলাদেশ সরকারকে ফেরত দেওয়ার জন্য কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রাখা। শিক্ষিত বেকার যুবকদের সরকারি উদ্যোগে চাকুরী প্রধান এবং কারিগরি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত যুবকদের শিক্ষাবৃত্তির আওতায় এনে তাদেরকে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা প্রদানসহ বিদেশ প্রেরণের বিষয়টি মানবিক বিবেচনায় আনা হোক। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, এলপিজিআরসি বাংলাদেশ কার্যকরী সভাপতি এম শওকত আলি, সহ সভাপতি এন কে গোলাম জিলানী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক (জোনাল) চট্টগ্রাম বিভাগ সোহেল আক্তার খান, সাধারণ সম্পাদক খুলনা বিভাগ মো. হুমায়ুন কবির, সভাপতি রংপুর শাখা কার্যালয় মো. শরফুদ্দিন, চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহেল আশরাফী, বগুড়া জেলা শাখার সহ-সভাপতি আবুল কালাম, মিরপুর সেকশন ১০.১১. আদমজী এবং রংপুর নেতৃবৃন্দসহ অগণিত নেতা-কর্মী। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন